Distributed Memory Model একটি কম্পিউটিং আর্কিটেকচার যেখানে প্রতিটি প্রসেসরের নিজস্ব স্বতন্ত্র মেমরি থাকে। এই মডেলটি মূলত Parallel Computing এ ব্যবহৃত হয় এবং এটি বিভিন্ন সার্ভার বা কম্পিউটারে কাজের পার্টিশনিং ও সমান্তরাল প্রসেসিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এখানে বিভিন্ন প্রসেসর নিজেদের মেমরির মাধ্যমে কাজ করে এবং একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে।
প্রতিটি প্রসেসরের নিজস্ব মেমরি থাকে, এবং তারা একটি সাধারণ মেমরি শেয়ার করে না। ফলে, প্রতিটি প্রসেসর তাদের নিজস্ব ডেটা এবং কোডের সাথে কাজ করে।
প্রসেসরগুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করার জন্য নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়। সাধারণত, এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেসেজ পাসিং অথবা দূরবর্তী প্রক্রিয়া কল (RPC) ব্যবহার করে যোগাযোগ করা হয়।
Distributed Memory Model খুব সহজে স্কেল করা যায়। নতুন প্রসেসর যুক্ত করলে সিস্টেমের ক্ষমতা বাড়ানো যায়, যা বড় আকারের সমস্যাগুলির সমাধানে সহায়ক।
প্রতিটি প্রসেসর স্বাধীনভাবে কাজ করে, তাই এক প্রসেসরের ব্যর্থতা পুরো সিস্টেমকে প্রভাবিত করে না। এটি সিস্টেমের নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।
হাই-পারফরম্যান্স কম্পিউটিংয়ে বড় সিমুলেশন ও বিশ্লেষণ কার্যক্রমে Distributed Memory Model ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
বিজ্ঞানী গবেষণায়, যেমন জলবায়ু পরিবর্তন এবং মহাকাশ গবেষণা, যেখানে বিশাল ডেটাসেট এবং জটিল গণনা প্রয়োজন হয়।
Distributed Memory Model গ্রিড কম্পিউটিংয়ে ব্যবহৃত হয়, যেখানে বিভিন্ন স্থানীয় কম্পিউটারগুলো একত্রে কাজ করে।
ক্লাউড সার্ভিসগুলোর ক্ষেত্রে Distributed Memory Model ব্যবহৃত হয়, যেখানে একাধিক সার্ভার স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং সংস্থানগুলো শেয়ার করে।
Distributed Memory Model একটি শক্তিশালী আর্কিটেকচার যা Parallel Computing এ ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন প্রসেসরের মধ্যে কাজের বিভাজন ও মেমরি ব্যবস্থাপনায় সুবিধা দেয়। যদিও এর কিছু অসুবিধা রয়েছে, তবে এর সুবিধা বিশেষ করে স্কেলেবিলিটি এবং নির্ভরযোগ্যতার কারণে এটি অনেক ক্ষেত্রে জনপ্রিয়। এটি উচ্চ কার্যক্ষমতা, বিজ্ঞানী গবেষণা এবং ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।